ফ্রি টাকা ইনকাম। অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম।

আসসালামু আলাইকুম। আমাদের আজকের টপিক ফ্রি টাকা ইনকাম। অনলাইন থেকে ইনকাম করার পদ্ধতির কোন শেষ নেই। আপনি ছেলে হাজার ভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি আপনার মেধা কে অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য কিভাবে কাজে লাগাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনি কি কাজ করবেন। আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করার অনেকগুলো পদ্ধতির সম্পর্কে আলোচনা করব। তবে আপনি চাইলে এর বাহিরেও অনেক পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো এপ্লাই করতে পারবেন। আর আপনার যদি এর থেকে কোন একটা কাজ করার প্রতি ভালো লাগে তাহলে আপনি এই কাজগুলো করবেন।

ফ্রি টাকা ইনকাম

Table of Contents

ফ্রি টাকা ইনকাম

ব্লগিং করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

ব্লগিং বর্তমান সময়ের অনলাইন ভিত্তিক জনপ্রিয় একটি পেশ। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি ব্লগিং করতে পারেন। যেহেতু এটি একটি মুক্ত পেশা তাই আপনি যেকোনো সময় নিজের ইচ্ছামত কাজ করতে পারবেন। আপনি ব্লগিং করে একাধিক পদ্ধতিতে ইনকাম করতে পারবেন। এড নেটওয়ার্ক, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, প্রোমোশনসহ বিভিন্নভাবে এখান থেকে ইনকাম করা যায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

আপনি চাইলে অন্য কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট নিজের সেল করতে পারেন। আপনি যেই সেল করবেন তার উপর আপনাকে কমিশন দেওয়া হবে। আপনাকে এখানে তেমন কিছুই করতে হবে না। শুধুমাত্র প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করতে হবে। আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কে ক্লিক করে যতজন মানুষ প্রোডাক্ট কিনবে তার ওপর আপনি কমিশন পাবেন।

আপনার যদি ওয়েবসাইট থাকে কিংবা ইউটিউব চ্যানেল থাকে। তাহলে আপনি সেখানে প্রোডাক্টের প্রমোশন করে আপনারে অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে দিতে পারেন। যদি কেউ কিনে সে ক্ষেত্রে আপনার একাউন্টে কমি

ভিডিও এডিটিং করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

বর্তমান সময়ে ফেসবুক কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে বড় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে প্রায় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনলাইন ভিত্তিক। এদের সকলেরই কমন একটা জিনিস প্রয়োজন হয় তা হচ্ছে ভিডিও তৈরি করা। তাই যারা ভিডিও এডিটিং এর কাজ পারে তাদের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর হতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনার কাজের অভাব হবে না। আপনারা চাইলে কম্পিউটারের বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে পারেন।

এসইও সার্ভিস এর কাজ করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে ভিজিট করেন তাহলে দেখতে পাবেন বর্তমানে সবচেয়ে বেশি এসইউ এর কাজ পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্যেকটা কনটেন্ট রাইটার কিংবা প্রত্যেকটা মার্কেটপ্লেস এর ওনার কিংবা ব্যবসার ওনার। সবাই চায় যাতে তাদের ওয়েবসাইট গুগলের রেংক করে। এতে তাদের ওয়েবসাইটে অনেক মানুষ আসবে যাদের কাছে তারা ব্যবসা করবে। ওয়েবসাইট গুগলে রেংক করানোর জন্য অনেক গুলো টেকনিক্যাল কাজ করতে হয় যেগুলোকে বলা হয় এসইউ।

আপনি যদি একজন দক্ষ এসইউ এক্সপার্ট হতে পারেন। তাহলে আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ভালো এক্সপার্ট এসইউ এর কাজ জানতে হবে। কাজ শেখার পর নিজে নিজে প্র্যাকটিস করে তার ফলাফল নোট করতে হবে। যখন আপনার কাজ শেখা হয়ে যাবে তখন আপনি মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য আবেদন করবেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসাকে অনলাইন ভিত্তিক করে নিচ্ছে। নিজের ব্যবসাকে অনলাইনে করার জন্য সবার প্রথমেই আমাদের প্রয়োজন হচ্ছে একটা বিজনেস ওয়েবসাইট। এজন্য যারা ওয়েব ডেভেলপার আছে তাদের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার হন। তাহলে আপনি ভবিষ্যতে অনেক ভাল কাজ করতে পারবেন এবং অনেক ভাল ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি অনলাইনে কাজ করতে চান তাহলে ওয়েব ডেভলপার হতে পারেন। এর জন্য আপনি প্রথমে কাজ শিখবেন পরবর্তীতে মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন। মার্কেটপ্লেসে কাজ করার আগে অবশ্যই নিজে নিজে কয়েকটা ওয়েবসাইট তৈরি করে দেখে নেবেন। এছাড়াও যদি আপনি একজন ওয়েব ডেভলপার হন তাহলে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি বিক্রি করতে পারবেন।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখে আপনি চাইলে আপনার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন এই কাজটা শিখার জন্য আপনার প্রচুর ধৈর্য ও সময়ের প্রয়োজন হবে। তবে আপনি যদি ভালোভাবে এই কাজটা একবার শিখে নিতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আপনি অ্যাপ তৈরি করে বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি একজন ভালো অ্যাপ ডেভেলপার হন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন। যাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় ও ধৈর্য রয়েছে তারা এই কাজটা শিখবেন।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম।

বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে যতগুলো পপুলার সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে তার মধ্যে ইউটিউব অন্যতম। youtube মূলত হচ্ছে একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। ইউটিউবে আপনি আপনার নিজের চ্যানেল তৈরি করে সেখানে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।

ইউটিউব এর নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া পূরন করলে আপনি মনিটরাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ইউটিউবে নিজের চ্যানেলকে জনপ্রিয় করাতে পারেন। তাহলে আপনি মনিটাইজেশন ছাড়াও এফিলেট মার্কেটিং সহ বিভিন্নভাবে প্রমোশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হতে চান তাহলে youtube হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে সেরা পছন্দ।

এখানে আরও একটি বোনাস বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আপনি ইউটিউবের জন্য যে ভিডিওটা তৈরি করবেন এই ভিডিওর মেইন মালিক হচ্ছেন আপনি। তাই আপনি চাইলে আপনার ভিডিও ইউটিউবের পাশাপাশি ফেসবুক পেজেও শেয়ার করতে পারেন। তাহলে আপনাদের ইনকাম বাড়ার সাথে সাথে আপনাদের জনপ্রিয়তা ও বাড়বে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ফ্রি টাকা ইনকাম।

একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর এর, একজন ব্লগারের এবং একজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের সবারই প্রয়োজন হয় ভালো ছবি। এছাড়াও এর চাহিদার কোন শেষ নেই। একটা প্রোডাক্ট কতটা সেল হবে তার অনেকটা নির্ভর করে তার শেয়ার করার ধরন ও ছবির উপর। একটা ভিডিও কতটা ভাইরাল হবে তাও নির্ভর করে ভালো থামলাইনের উপর। এই সবগুলো কাজই করতে পারেন একজন গ্রাফিক ডিজাইনার।

আপনি যদি একজন বালক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক ডিজাইন এর অনেক কাজ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে নিজের একটা কোম্পানি খুলতে পারবেন যেখানে আপনারা মানুষকে গ্রাফিক ডিজাইনের সার্ভিস দিবেন। গ্রাফিক ডিজাইন খুব কঠিন একটা কাজ না আপনারা সামান্য পরিশ্রম করি এই কাজটা শিখতে পারবেন। আপনারা যত বেশি এই কাজ করবেন আপনাদের তত বেশি ইম্প্রুভ হবে। দিন দিন আপনাদের ইনকাম বাড়বে।

অনলাইন টিউটর হিসেবে যোগ দিয়ে ফ্রি টাকা ইনকাম।

বর্তমান সময়ে অনলাইন টিউটর হিসেবে কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি যেই কাজটা অফলাইনে করলে সামান্য কিছু মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারতেন। একই কাজটা আপনি অনলাইনে করে হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছেন। অনলাইন টিউটর হিসেবে জয়েন করলে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে।

আপনি যাদেরকে শিক্ষা দিবেন তাদের কাছ থেকে আপনি একটা পেমেন্ট পাবেন। প্রথম অবস্থায় আপনি চাইলে এই কাজটা youtube কিংবা ফেসবুকের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন। যখন অনেক মানুষ আপনার সাথে যুক্ত হয়ে যাবে তখন আপনি পেইড সার্ভিস চালু করবেন। আপনি শিক্ষা টেকনোলজি সহ বিভিন্ন সেক্টর নিয়ে কাজ করতে পারেন। আপনার যেই বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে সেই বিষয়গুলো অনলাইনে টিউটর হিসেবে পাবলিশ করে ইনকাম করবেন।

অনলাইন স্টোর তৈরি করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

আপনার যদি নিজের কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকে তারপরও আপনি অনলাইনে একটি স্টোর করতে পারবেন। এফিলেট মার্কেটিং অথবা ড্রপ শিপিং এর জন্য আপনি এটা ব্যবহার করতে পারেন। অন্যের স্টোর এর প্রোডাক্ট আপনি নিজের স্টোর এ আপলোড করে সেটা সেল করার মাধ্যমে ইনকাম করবেন। আমরা এটিকে রিসেলিং ব্যবসা বলতে পারি।

ড্রপশিপিং এর কাজ করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

ড্রপ শিপিং বর্তমানে অনেক পপুলার হয়েছে। যারা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চায় দিন দিন এদের কাছে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ড্রপ শিপিং হচ্ছে এমন একটা পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি অন্যের প্রোডাক্ট সেল করে ইনকাম করতে পারবেন। ড্রপ শিপিং সম্পর্কে আপনাদের কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করি।

ড্রপ শিপিং যেই কোম্পানিগুলো দেয় আপনাদেরকে তারা অনেক কম দামে প্রোডাক্ট সেল করে। মনে করেন একটা প্রোডাক্টের দাম 20 ডলার। কিন্তু তারা যেহেতু ড্রপ শিপিং করার সুযোগ দিচ্ছে তাই তারা সেটা ১৫ ডলারে বিক্রি করে দেয়। এখন আপনি কোন একজন কাস্টমার সংগ্রহ করে তার কাছে এই ২০ ডলারের প্রোডাক্টটা সেল করলে বাকি যেই ৫ ডলার বেশি আপনি সেল করতেছে সেটা আপনার বোনাস। এভাবে অসংখ্য প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলো তারা কম দামে বিক্রি করে আপনি সেটা বেশি দামে বিক্রি করে তাদের ওয়েবসাইটেই অর্ডার করবেন। আপনি যত টাকা বেশিতে বিক্রি করতে পারবেন উপরোক্ত সেই টাকাটা আপনার একাউন্টে জমা হবে।

এটা অনেকটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত হলেও এর কিছু গঠনগত পার্থক্য রয়েছে। অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনাদের টাকা দিয়ে জয়েন করতে হয় আবার অনেকগুলোতে ফ্রিতে জয়েন করা যায়। আপনি যদি ড্রপ শিপিং এর প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে কাজ শুরু করতে পারেন।

কন্টেন্ট রাইটিং করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

কনটেন্ট রাইটিং অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার আরো একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। কনটেন্ট এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটের জন্য পর্যাপ্ত কনটেন্ট প্রয়োজন। তবে দিনদিন কাজের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে এর প্রতিযোগিতাও বাড়ছে। তাই আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং করে নিজের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হতে হবে।

শুধু লিখতে পারলে একজন কন্টেন্ট রাইটার হওয়া যায় না। আপনাকে অবশ্যই একটি ভাল মানের লিখা লিখতে হবে এবং এর পাশাপাশি এসইউ ফ্রেন্ডলি লিখা হতে হবে। সবগুলো সামান্যই যদি আপনি ভালো করতে পারেন তাহলেই আপনি একজন ভাল কন্টেন্ট রাইটার হতে পারবেন। যখন আপনি ভালো কন্টেন্ট রাইটার হবেন তখন আপনি চাইলে নিজের ওয়েবসাইটের জন্য লিখতে পারেন। অথবা কোন মানুষের জন্য লিখে ইনকাম করতে পারেন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে।

অনলাইন কোর্স তৈরি করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

টেকনোলজির এই যুগে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা অনলাইনে নিজের কোর্স বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করছে। আপনি যদি কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন এবং সেটা যদি খুবই জনপ্রিয় বা যার মার্কেট বেলু রয়েছে এরকম কিছু হয়ে থাকে। তাহলে আপনি চাইলে আরো ভালোভাবে রিচার্জ করে সে বিষয়ে একটি অনলাইন কোর্স পাবলিশ করতে পারেন। আপনি যদি একটা অনলাইন কোর্স তৈরি করেন এবং সেটা যদি ভালোভাবে সেল করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

আপনি একটা কোর্স একবার মাত্র তৈরি করবেন। কোর্স এর ফল আপনি দীর্ঘদিন পেতে থাকবেন। আপনাকে বারবার তৈরি করতে হবে না একবার তৈরি করার পর শুধু সেল করবেন। এভাবে আপনি অনলাইন কোর্স সেল করে ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন কোর্সের কাস্টমার পাওয়ার জন্য আপনি চাইলে বিভিন্ন পেইড মেথড ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত মানুষ বর্তমানে ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাদের কোর্সগুলো শেয়ার করে। আপনিও চাইলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে পারেন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে জব করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

ভার্চুয়াল assistant হচ্ছে আপনি ভার্চুয়াল ভাবে একজন এর কাজ করবেন। আপনি যখন কোন অফিসে জব করেন তাহলে আপনাকে কাজটা করার জন্য অফিসে যেতে হয়। যদি আপনি ভার্চুয়াল assistant হিসেবে কাজ করেন তাহলে আপনাকে অফিসে যেতে হবে না এক কাজটা আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন। আপনাকে এমন কাজ দেয়া হবে যেগুলো অনলাইন ভিত্তিক।

আমি সহজে বুঝার জন্য একটা এক্সাম্পল দিচ্ছি। মনে করেন একটি কোম্পানির ভিডিও এডিটিং এর কাজ করার প্রয়োজন হয় প্রায় সময়। এখন তারা চাইলে প্রত্যেকটা কাজের জন্য আলাদা আলাদা ফ্রিল্যান্সার হায়ার করতে পারে। এত তাদের নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সার খুঁজতে সমস্যা হবে এবং সময় প্রয়োজন হবে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য তারা একজনকে পার্সোনালি ভার্চুয়াল assistant হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে। তাদের যখনই ভিডিও এডিটিং এর কাজ করার প্রয়োজন হবে বা এই রিলেটেড কাজ করার প্রয়োজন হবে তখন তাকে দিয়ে তারা কাজটা করে নেবে। এর ফলে তাকে মাসে মাসে একটা বেতন দিবে এটাই মূলত হচ্ছে বার্সেল এসিস্ট্যান্ট।

ই-বুক সেল করে অনলাইন থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম।

বই তো আমরা প্রত্যেকটা মানুষই পড়ি। তবে বর্তমান যুগে বইয়ের অল্টারনেটিভ হয়ে দাঁড়িয়েছে ই-বুক। আপনি যদি কোন একটা বিষয় একটা বই তৈরি করতে পারেন। তাহলে সেটার অনলাইন ভার্শন অনলাইনে সেল করতে পারবেন। আপনার বই যত বেশি জনপ্রিয় হবে যত বেশি সেল হবে আপনার তত বেশি ইনকাম হবে।

অবশ্যই আপনার যেই বিষয় অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই বিষয়ের উপর লেখালেখি করবেন। এমন কিছু লিখবেন যা মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছাবে এবং অনেক মানুষের উপকার হবে। তারপর সেটা একটা বই আকারে পিডিএফ তৈরি করে আপনি সেল করতে পারেন।

ট্রান্সক্রিপ সার্ভিস দিয়ে ফ্রি টাকা ইনকাম।

বর্তমানে যারা ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে তাদের এক একটি ভিডিও তৈরি করার জন্য অনেক ইনফরমেশন প্রয়োজন হয়। এটা শুধু youtube চ্যানেলের ক্ষেত্রেই নয় আরো অনেক কাজে এই ইনফরমেশনের দরকার হয়। আপনি যদি অনলাইনে একজন পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে চাইলে আপনি এই কাজগুলো করতে পারেন। আপনি তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রান্সক্রিপ লিখে দিবেন।

এর জন্য আপনাকে গুগলে অনেক রিচার্জ করতে হবে। অনেক ওয়েবসাইট ভিজিট করে পর্যাপ্ত তথ্য কালেক্ট করতে হবে। কালেক্ট করার পর সেগুলো সুন্দর ভাবে লিস্ট করে আপনি আপনার বায়ার কে দিয়ে দিবেন। ফাইবার অপ ওয়ার্ক এর পাশাপাশি অন্যান্য মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি এই কাজ পাবেন।

translation এর কাজ করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

আপনি যদি একাধিক ভাষায় পারদর্শী হয়ে থাকেন আপনি এই কাজটা করতে পারেন। যেমন কিছু মানুষ ইংরেজি জানে কিন্তু জার্মান জানে না। কিন্তু তাদের কোন ডকুমেন্টের জার্মান ভার্সন প্রয়োজন। আর আপনি জার্মান এবং ইংরেজি দুইটাই জানেন। এখন আপনি অর্থের বিনিময়ে তাদের এই কাজটা করে দিতে পারেন।

তারা আপনাকে ইংরেজি ডকুমেন্ট দিবে। আপনি সেটা পরে জার্মান বাসায় ট্রান্সলেশন করে দেবেন। এর বিনিময়ে তারা আপনাকে পেমেন্ট করবে। ফাইবার আপ ওয়ার্কে এ ধরনের প্রচুর কাজ রয়েছে। এটা যে শুধু ইংরেজি ও জার্মান ভাষার জন্য করা যাবে এরকম নয়। অনেক ভাষার মধ্যে এই কাজগুলো করা যায়। তবে সত্য হচ্ছে আপনাকে একাধিক ভাষায় পারদর্শী হতে হবে।

ডাটা এন্ট্রি এর কাজ করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

ডাটা এন্ট্রি অত্যন্ত সহজ একটি কাজ। ডাটা এন্ট্রি বলতে বোঝায় আপনি কোন তথ্য লিপিবদ্ধ করবেন। এই কাজটা সহজ তবে মার্কেটপ্লেসে এই কাজ পাওয়া যায়। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখেন এবং কাজ খুঁজে তা করার চেষ্টা করেন তাহলে চাইলে ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

ডাটা এন্টির কাজ করার জন্য আপনাকে google সীট এবং মাইক্রোসফট এক্সেল সম্পর্কে অনেক পারদর্শী হতে হবে

অনলাইন সার্ভে করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম করার জন্য বর্তমানে হাজার হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে সবগুলো ওয়েবসাইট সব দেশের জন্য কাজ করে না। অনলাইন সার্ভে করার সময় একটা জিনিস আপনার মাথায় রাখবেন কখনো না পড়ে কোন উত্তর দিবেন না। আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল উত্তর দিতে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনি সার্ভের জগতে টিকতে পারবেন না। আপনি যদি ভালো করে পড়ে সঠিক উত্তর দিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনি অনলাইন সার্ভে থেকে ভালো একটা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আবারো একবার বলে রাখছি আপনি কোন দেশে থাকেন তার উপর অনেকটা নির্ভর করবে যে আপনার ইনকামটা কি রকম হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর জব করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রচারের জন্য বড় একটা কাজ করে থাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে প্রত্যেকটা বড় বড় প্রতিষ্ঠানেরই সোশ্যাল মিডিয়াতে একাউন্ট রয়েছে। তারা তাদের একাউন্টগুলো ভেরিফাই করছে যাতে কাস্টমাররা সহজে তাদেরকে খুঁজে পায়।

অনেক প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রোডাক্ট সেলসহ তাদের কাস্টমার সার্ভিস দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে একজন সোশ্যাল মিডিয়া স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার সম্পর্কে পারদর্শী হতে হবে । সোশ্যাল মিডিয়ার প্রত্যেকটা বিষয় সম্পর্কে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। আপনি আপনার কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়াগুলো হ্যান্ডেল করবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজটা আপনি মার্কেটপ্লেস কিংবা মার্কেটপ্লেসের বাইরে থেকেও পেতে পারেন। আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে এটা যখন আপনি কাজ নিবেন তখন আপনাকে বিস্তারিত বলে দেওয়া হবে।

ক্রিপ্টো কারেন্সি থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম।

ফ্রি টাকা ইনকাম
Tradingview Bitecoin Price Chart

ক্রিপ্টো কারেন্সি কারেন্সি হচ্ছে ডিজিটাল মুদ্রা। দিন দিন এর ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে অনেক দেশের সরকার এটা মজুদ করছে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা আমরা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে ইনকাম করি। এটা খুব তাড়াতাড়ি উঠেনামা করে। কখনো এক দাম অনেক বেড়ে যায় আবার কখনো অনেক কমে যায়।

উদাহরণস্বরূপ বলতে পারিস বিটকয়েনের প্রাইস যদি আপনি লক্ষ্য করেন দেখবেন যে একই বছরে ২-৩ গুণ হয়ে যায়। আবার একই সময় ২-৩ গুণ কমেও যেতে পারে। যারা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে ইনকাম করতে চায় তাদের অবশ্যই এই বিষয়ে অনেক জ্ঞান থাকতে হবে। পর্যাপ্তভাবে শিখে এখানে ইনভেস্ট করে ইনকাম করতে হবে।

এখানে ইনকামটা হচ্ছে আপনি যখন একটা কয়েন বাইর করবেন তার দাম বৃদ্ধি পেলে আপনি সেল করে দিবেন। এর জন্য অনেক ট্রেডিং অ্যাপ রয়েছে যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন। বাইনান্স হচ্ছে ক্রিপ্টো কারেন্সি ট্রেডিং এর সবচেয়ে পপুলার এবং এক নাম্বার অ্যাপ। পুরো পৃথিবীর মানুষ এটা ব্যবহার করে ক্রিপ্টো থেকে ইনকাম করে এবং অনেকে লসও করে। আপনার যদি ধৈর্য এবং জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি এটার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

হাতের তৈরি প্রডাক্ট বিক্রি করে ফ্রি টাকা ইনকাম।

ফ্রি টাকা ইনকাম

আপনি যদি নিজে তৈরি করতে পারেন এমন কোন সুন্দর জিনিস থাকে। এটা যদি অনলাইন এ বিক্রি করার মতো হয়। তাহলে আপনি চাইলে এর ব্যাবসা অনলাইন এ করতে পারেন। আপনি প্রথম এ ফেসবুক এর মাধ্যেমে শুরু করতে পারেন।

কাজ খুঁজার জন্য পপুলার কিছু মার্কেটপ্লেস।

Upwork: https://www.upwork.com/
Fiverr: https://www.fiverr.com/
Freelancer: https://www.freelancer.com/
Guru: https://www.guru.com/
PeoplePerHour: https://www.peopleperhour.com/

এখানে অনলাইন থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম এর জন্য অনেক গুলো উপায় এর কথা বলা হয়েছে। আপনাদের এর মধ্যে যেগুলো ভালো লাগে সেই কাজগুলো করতে পারেন। আশা করি পোষ্ট টা পড়ে আপনি নতুন কিছু শিখতে পারছেন। ভালো থাকবেন সবাই।

আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার উপায়

কিওয়ার্ড: ফ্রি টাকা ইনকাম, অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম, অনলাইন থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম, ফ্রি টাকা ইনকাম কোন ইনভেষ্ট ছাড়া, মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম, ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট, ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম, ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম ‍বাংলা, ফ্রী টাকা ইনকাম, অনলাইন থেকে ইনকাম, অনলাইন থেকে আয়, অনলাইন থেকে ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট, 

 আপনি যদি  ব্লগ বা ই কমার্স ওয়েবসাইট কিনতে চান। তাহলে আমদের সাথে যোগাযোগ করুন। ফেসবুক

Leave a Comment