আসসালুমু আলাইকুম। একটা মানুষ এর বাহ্যিক রুপ দেখা যায় তার পোষাক দেখে। ইসলাম হলো পরিপূর্ন একটা জীবন ব্যাবস্থা। কোন পোষাক পড়া যাবে কোন পোষাক পড়া যাবে না এ নিয়ে ইসলাম এর নিয়ম রয়েছে। আজকের আলোচনা করব,,,ইসলাম এ পোষাক পড়ার বিধান। হলুদ কাপড় পরা কি হারাম। ইসলামে কোন রং নিষিদ্ধ। লাল ও হলুদ কাপড় পড়ার বিধান। ইসলাম এ পোষাক পড়ার বিধান।
ইসলাম এ পোষাক পড়ার সাধারন কিছু নিয়ম?
ইসলাম এ পুরুষ ও নারীর জন্য পোষাক পড়ার সাধারন কিছু নিয়ম আছে যেগুলো সবার জন্য মানতে হবে।
- পোষাক এর সীমা পুরুষ এর জন্য নাভী থেকে হাটু পযন্ত ও মেয়েদের জন্য পুরু শরীর।
- এমন আটোসাটো পোষাক পড়া যাবে না যাতে শরীর এর গঠন বোঝা যায়।
- ছেলেদের কাপড় মেয়েরা এবং মেয়েদের কাপড় ছেলেরা পড়তে পারবে ন।
- এমন সচ্ছ কাপড় পড়া যাবে না যাতে শরীর এর ভিতরের অংশ দেখা যায়।
- পোষাক এতটা ঝমকালো হবে না যাতে বিপরীত লিংঙ্গ এর মানুষ আকৃষ্ট হয়।
- অন্য ধর্মের কোন পোষাক বা পোষাক এ অন্য কোন ধর্মের প্রতিক ব্যবহার করা যাবে না।
হযরত মোহাম্মদ (সঃ) সবসময় কাফেরদের অনুসরন করা অপছন্দ করতেন। কাফেরদের অনুসরন করা আমাদের জন্য হারাম। তাছাড়া যেসকল পুরুষ নারীদের পোষক পড়ে ও যেসকল নারী পুরুষ এর পোষাক পড়ে তারা অভিষপ্ত। এ ব্যাপারে হাদির এ বর্ননা আছে যে,,,
যেসব নারী পুরুষের মতো পোশাক পরে অথবা যেসব পুরুষ নারীদের মতো পোশাক পরে, তাদের ওপর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের লা’নাত, অভিশাপ। (তিরমিজি)
এ ব্যাপার এ আরো একটি সহীহ হাদিস আছে,, আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন ঐসব পুরুষকে যারা নারীর অনুরূপ পোশাক পরে এবং ঐসব নারীকে যে পুরুষের অনুরূপ পোশাক পরিধান করে। (আবু দাউদ ৪০৯৮)
এছাড়াও পোষাক পড়ার সময় কিছু নিয়ম এর দিকে খেয়াল রাখতে হয়। যেমন কোন পুরুষ তার পোষাক টকানুর নিচে পড়তে পারবে না। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নীচে থাকবে, সে অংশ জাহান্নামে যাবে। (বুখারি ৫৭৮৭)
একই ভাবে মেয়েদের জন্য নিয়ম হচ্ছে পায়ের টাকনুর নিচে জামা পড়তে হবে। জাঁকজমকপূর্ণ পোষাক ও পড়া যাবে না মানুষ কে দেখানোর জন্য। এ ব্যাপারে হাদিস এ বর্ননা আছে যে,,,
ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি খ্যাতি লাভের জন্য পোশাক পরে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সেরূপ পোশাক পরাবেন, অতঃপর তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে। (আবু দাউদ ৪০২৯)
হলুদ কাপড় পড়া যাকে কি? ইসলামে কোন রং নিষিদ্ধ?
হলুদ কাপড় পড়া নিয়ে অনেক কথা আমাদের সমাজে প্রচলন আছে। কেউ মনে করেন এটা পড়া ঠিক না আবার কারো মতে এটা পড়া হারাম। চলুন আমরা এ ব্যাপার এ কিছু হাদিস জেনে নেই।
মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ….. ’আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল ’আস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পরিধানে হলুদ রংয়ের (জাফরান রঙে) দুটি বস্ত্র দেখে বললেন, এগুলো কাফিরদের বস্ত্র। অতএব তুমি এসব পরবে না। (মুসলিম ২০৭৭)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি লাল রঙের জিনপোষে সওয়ার হই না, হলদে (কুসুম) বর্ণের কাপড় পরিধান করি না এবং রেশম আটকানো জামা পরিধান করি না। (আবু দাউদ ৪০৪৮)
পোষাক পড়ার ক্ষেত্রে আমরা যে ভুল করি।
আমরা অনেক এ জানার পর ও এই ভুল টা করি। আমরা একে অনেক সাধারন মনে করি কিন্তু এটা সাধারন কোন পাপ নয়। আমরা পুরুষ হয়ে যদি আমরা পায়ের টাকনুর নিচে কাপর পড়ি তাহলে আমরাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।
“তিন প্রকার লোকের সাথে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি। তারা হলো-টাখনুর নিচে কাপড় (অন্য বর্ণনায় লুঙ্গী) পরিধানকারী, খোঁটাদানকারী (অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে খোঁটা না দিয়ে কোনো কিছু দান করে না) ও মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারী”।
আমরা জানতে পারলাম যে হলুদ রং এর পোষাক পড়া যাবে না। তবে এটা শুধুমাএ পুরুষ এর জন্য। মেয়েদের জন্য রং নিয়ে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। যদি কোন তথ্য তে ভুল থাকে আমাদের জানানোর অনুরোধ রইল। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের ইসলাম পালন করার তৌফিক দান করুণ। আল্লাহ হাফেজ।
আপনি যদি ব্লগ বা ই কমার্স ওয়েবসাইট কিনতে চান। তাহলে আমদের সাথে যোগাযোগ করুন। ফেসবুক