ইনভেস্ট করে আয়।
আমাদের বাঙ্গালীদের সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস হচ্ছে আমরা কম সময়ে বড়লোক হতে চাই। আমরা সবসময় শর্টকাট রাস্তা খুঁজে থাকি। কিন্তু শর্টকাট রাস্তা দিয়ে খুব সহজে বা খুব বেশি মানুষ বড়লোক হতে পারে না। হয়তো লাখে বা কোটিতে একজন হয়ে যায় সেটা খুবই কম।
ইনভেস্ট করা হালালা না হারাম?
ইনভেস্ট করা হালাল না হারাম এটা নির্ভর করে আপনি কোথায় এবং কি কি শর্তে ইনভেস্ট করতেছেন । আপনি যদি একটা কোম্পানিতে ইনভেস্ট করেন এবং সে যদি বলে যে প্রত্যেক বছর আপনাকে ১০% লাভ দিবে। আপনি যাকে টাকা দিবেন তার লাভ হোক কিংবা লস হোক সে আপনাকে ১০% লাভ দিতে বাধ্য। তাহলে সেটা হালাল হওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।
এরপর আসে হালাল কিভাবে হবে? আপনি যাকে টাকা দিয়েছেন যদি সে এরকম কোন কথা বলতো যে তার লাভ কিংবা লস দুইটার ১০% আপনি পাবেন। তাহলে সেটা হালাল হত। তাই কেউ যদি হালাল ভাবে ইনভেস্ট করে ইনকাম করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এমন জায়গায় ইনভেস্ট করতে হবে যেখানে লাভ হলেও দুইজনের হবে লস হলেও দুইজনের হবে। সেখানে যেকোনো পার্সেন্টেজ হতে পারে।
ইনভেষ্ট করে কম সময়ে বেশি টাকা আয় করা?
এটা একেবারে অসম্ভব সেটা আমি বলতেছি না। তবে এখানে ঝুঁকি অনেক বেশি। মনে করেন আপনি এমন একটা কোম্পানিতে ইনভেস্ট করলেন। যে কোম্পানি আপনাকে আপনি যা ইনভেস্ট করবেন প্রত্যেকদিন তার ৫ পার্সেন্ট কমিশন আপনাকে দেবে। তাহলে দেখতে পাবেন মাত্র ২০ দিনে আপনার ইনভেস্ট ডাবল হয়ে যাবে। আপনি যদি ১ লাখ টাকা ইনভেস্ট করেন ২০ দিন পর সেটা 2 লাখ টাকা হয়ে যাবে।
তবে যারা এরকম প্রফিট দেয় তারা কখনোই মার্কেটে লং টাইম থাকে না। তারা এরকম মানুষকে প্রলোভন দেখায়। প্রলোভন দেখে যখন তাদের এইখানে অনেক মানুষ ইনভেস্ট করে তখন সকলের টাকা নিয়ে তারা কোম্পানি বন্ধ করে দেয়। এজন্যই মূলত আমরা এরকম শর্ট সাইটগুলোতে ইনভেস্ট করার জন্য আগ্রহী করি না।
কোথায় ইনভেস্ট করে সারাজীবন ইনকাম করব হালাল ভাবে?
যদি এরকম ইনভেস্টার কথা বলি তাহলে অনেক রকম ইনভেস্ট রয়েছে। আমি আপনাদের আমার নলেজে যতটুকু আছে সেগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করব।
শেয়ারবাজার: শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট করে আপনি তাদের লাভ এবং লস এর অংশীদার হতে পারবেন। এখন আপনি লাভবান হবে কিনা সেটা ডিপেন্ড করবে আপনি কোথায় ইনভেস্ট করছেন এবং কতটুকু রিচার্জ করছেন। দেশে-বিদেশের অনেক কোম্পানি রয়েছে যেখানে ইনভেস্ট করে ইনকাম করা যায়। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশের ইনভেস্ট সাইটগুলোতে আমি আপনাদের ইনভেস্ট করার জন্য বলবো না। আমি একজন বাংলাদেশী মানুষ হলে আমি জানি যে বাংলাদেশের মানুষ গুলো অনেক বেশি স্বার্থপর এবং স্বার্থলোভী হয়। তারা সব সময় নিজের প্রফিট টাই আগে চিন্তা করে।
ইন্টারন্যাশনাল যে সাইটগুলো থেকে পুরো পৃথিবীতে ইনভেস্ট চলছে ।আপনি চাইলে সেই সাইটগুলোতে ইনভেস্ট করতে পারেন। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল যুগ আপনি youtube কিংবা গুগল এ সার্চ করে কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল ইনফরমেশন দেখে নিতে পারবেন। আপনি এই বিষয়ে যত বেশি রিচার্জ করবেন আপনার প্রফিট হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে।
কোন পন্য ইনভেস্ট: এটা কে আপনারা ব্যবসার সাথে তুলনা করবেন না। ব্যবসায় সাধারণত আমরা একটা পন্য কিনে সেটা হোল্ড না করে সাথে সাথে বিক্রি করে দেই। সে ক্ষেত্রে আমরা মোটামুটি একটা লাভ রাখি। আমি যেটা বলতেছি সেটা হচ্ছে long time এর জন্য গোল্ড রাখা। যেমন আজকে আপনি ৫ লাখ টাকার স্বর্ণ কিনলেন। আপনার টার্গেট হচ্ছে আজ থেকে পাঁচ বছর কিংবা দশ বছর পর এগুলো আপনি ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করবেন। এটাই হচ্ছে মূলত পণ্য ভুল করে ইনকাম। এগুলো হচ্ছে আপনার জন্য রিয়েল লাইফ ইনভেস্টমেন্ট বা ট্রেডিশনাল ইনভেষ্টমেন্ট।
আমি আপনাদের স্বর্ণ দিয়ে উদাহরণ দেওয়াতে আপনাকে স্বর্ণ ই কিনতে আমি এরকমটা নয়। আপনি কোন ভাল বই কিনতে পারেন, ঐতিহাসিক কোন প্রডাক্ট কিনতে পারেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
ভার্চুয়াল মুদ্রা ক্রয়: বর্তমান সময়ের বিশ্বের বড় একটা ইনভেস্টমেন্ট চলছে এই ভার্চুয়াল কারেন্সিতে। ভার্চুয়াল কারেন্সি অবশ্যই খুব দ্রুত উঠানামা করে। আমরা সাধারণত এটাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে চিনি । এইখানে অবশ্যই আপনি কিছু জিনিস ফলো রাখবেন। অবশ্যই প্রথমতা আপনি উপরের দিকে যে কয়েন গুলো আছে সেগুলিতে ইনভেস্ট করবেন। যেমন বিটকয়েন, ইথারিয়াম।
মার্কেট বর্তমান অবস্থা কি সেটা জেনে তারপর ইনভেস্ট করবেন। একটা কয়েনের সব টাকা ইনভেস্ট না করে ভালো ভালো কয়েকটা কয়েন সিলেক্ট করলে লাভ হয় সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কিটো কারেন্সিতে ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই এটা নিয়ে আপনি ভালো করে রিচার্জ করে নেবেন।
Read More: ফ্রি টাকা ইনকাম
Releted keyword: শেয়ার বাজারে সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করা যায়, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি, কোথায় টাকা ইনভেস্ট করা যায়, ইনভেস্ট ছাড়া টাকা ইনকাম, টাকা দিয়ে টাকা ইনকাম,
আপনি যদি ব্লগ বা ই কমার্স ওয়েবসাইট কিনতে চান। তাহলে আমদের সাথে যোগাযোগ করুন। ফেসবুক