ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায়। ইউটিউব থেকে আয় করার পদ্ধতি মনিটাইজেশন ছাড়া।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায় এই বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে। ইনকাম করার জন্য কি কি করা লাগবে সে বিষয় এ ও ধারনা দিব।

ইউটিউব কি ও কবে কে ইউটিউব প্রতিষ্ঠা করে। 

ইউটিউব প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালে, তখন ইউটিউবের আবিস্কারক ছিলেন স্টিভ চেন, চ্যাড হার্লি এবং জাভেদ করিম ছিলেন। তখন ইউটিউব একটি ভিডিও হোস্টিং ওয়েবসাইট ছিল যেখানে ব্যবহারকারীরা ভিডিও আপলোড করতে পারতেন।

ইউটিউব হল একটি অনলাইন ভিডিও হোস্টিং ও শেয়ারিং ওয়েবসাইট। এটি ব্যবহারকারীদের স্বতন্ত্রভাবে ভিডিও আপলোড করতে দেয় এবং দেখার জন্য উপলব্ধ করা হয়। এছাড়াও ইউটিউব ব্যবহারকারীদের মধ্যে কমিউনিটি বিল্ডিং এবং মার্কেটিং করার একটি উপায় হিসেবে সম্পূর্ণ কর্মপরিকল্পনা করা হয়েছে।

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার কিছু উপায় হলো:

ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম: ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে অনুমোদিত হতে হলে আপনাকে ইউটিউবে নির্দিষ্ট সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার ও ওয়ার্চ টাইম লাভ করতে হবে। বর্তমান এ ১ হাজার সাবসক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘন্টা ওয়ার্চ টাইম প্রয়োজন Monetization এর জন্য। মনিটালাইজোশন অন করতে পারলে এড প্রচার করার মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করা যায়।

স্পন্সরশিপ এবং প্রচারণা: আপনি ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারেন এবং কোন স্পন্সরশিপ এবং সমর্থক পাবার জন্য আপনার চ্যানেলের প্রতিষ্ঠানগুলি জন্য সামগ্রী তৈরি করতে পারেন। আপনি এডসেন্স এর বাহির এ বিভিন্ন কম্পানির এড দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার চ্যানেল এর ভিউ অনুযায়ী ভালো ইনকাম এখানে থেকে সম্ভব।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:  আপনি ইউটিউব চ্যানেলে লিংক দিয়ে পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন এবং যদি কেউ আপনার লিঙ্ক দিয়ে কোন পন্য ক্রয় করে তাহলে আপনি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি হতে কমিশন পাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইউটিউব থেকে ইনকাম করার অনেক বড় একটা প্লাটফর্ম। কারন ইউটিউব এ যেকোনো কোম্পানির লিংক শেয়ার করা যায়।

প্রোডাক্ট বা সেবা বিক্রি করা: ইউটিউবে আপনি নিজের প্রোডাক্ট বা সেবা বিক্রি করতে পারেন। ইউটিউব একটা অপেন মার্কেট প্লেস যেখানে যেকেউ ব্যাবসা করতে পারবে। আপনি ইউটিউব এ নিজের যেকোনো পন্য বা সেবা বিক্রি করতে পারবেন।

লাইভ স্ট্রিমিং: আপনি লাইভ স্ট্রিমিং করে আপনার দর্শকদের সাথে সংযোগ করতে পারেন এবং লাইভ স্ট্রিমিং এবং নির্দিষ্ট দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

ভিডিও এডিটিং সেবা: আপনি আপনার চ্যানেলের জন্য ভিডিও এডিটিং সেবা প্রদান করতে পারেন। এই সেবা দেওয়া যেতে পারে আপনার নিজস্ব একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার থেকে ভিডিও এডিট করে বা একজন ভিডিও এডিটর কে নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।

কোর্স প্রদান: আপনি আপনার জ্ঞান এবং দক্ষতা দিয়ে কোর্স তৈরি করে ইউটিউব এ প্রদান করতে পারেন। আপনি ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে আপনার কোর্সটি বেচার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়া কোর্স বিক্রি করার জন্য প্রচার করতে পারেন।

ইউটিউব কে কাজে লাগিয়ে আপনি নিজের মতো করে অনেক ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। পরিকল্পনা করুন, কিভাবে কাজ করবেন ভাবুন। নিজের ভাবনা নিয়ে ভাবে করে রিচার্জ করুন। তারপর সঠিক ভাবে কাজ করুন। সঠিকভাবে পরিশ্রম করলে টাকা ইনকাম হবে ই হবে। ধন্যবাদ

 আপনি যদি  ব্লগ বা ই কমার্স ওয়েবসাইট কিনতে চান। তাহলে আমদের সাথে যোগাযোগ করুন। ফেসবুক

Leave a Comment