ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়। ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার উপায়।

ইউটিউব থেকে আয় করার সহজ উপায়। ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার উপায়।

ইউটিউব থেকে আয় ও ফেসবুক পেজ থেকে আয় 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ । আমাদের বর্তমান এর এই প্রযুক্তির যুগে অনেক এর সপ্ন ইউটিউব/ফেসবুক থেকে ইনকাম করার। আজকে আপনাদের সাথে  এই বিষয় টি নিয়ে আলোচনা করব। কিভাবে আমরা এগুলে আমাদের এই সপ্ন টা পুরন করতে পারব। সে বিষয় এ আপনাদের ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা যদি একটা কাজ করে সফল হতে চাই আমাদের অনেক গুলো বিষয় আমাদের ফলো করতে হয়। অনেকগুলো বিষয় আজকে আপনি জানতে পারবেন অবশ্যই ধৈর্য নিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

১) নিয়মিত কাজ করা। 

ইউটিউব কিংবা ফেসবুক পেজ যেটাতে কি আপনি ইনকাম করতে চান। সবার প্রথম আপনাকে যে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে কন্টিনিউয়াসলি কাজ করা। আপনি যদি রেগুলার কাজ করেন তাহলে আপনি সফল হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাবেন। আর যদি আপনার কাজ এরকম হয় যে হঠাৎ করে একটা ভিডিও দিলেন । তারপর কয়েকদিন ভিডিও দিলেন না আবার হঠাৎ করে তিন-চারটা ভিডিও দিলেন তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন না। সবার প্রথম আপনাকে এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যাতে আপনি নিয়মিত কাজ করেন।

২) কোয়ালিটি ফুল কন্টেন্ট তৈরি করা। 

এরপর আপনাকে অবশ্যই কোয়ালিটি ফুল কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। বর্তমানে কনটেন্ট তৈরি করার প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এখন যদি আপনি সফল হতে চান অবশ্যই আপনাকে কোয়ালিটি ফুল ভিডিও তৈরি করতে হবে। তবে আপনি যদি নিয়মিত কাজ করেন । সেক্ষেত্রে আপনার ভিডিওর কোয়ালিটি একদম হাই কোয়ালিটি না হলেও মোটামুটি মিডিয়াম কোয়ালিটির হলে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৩) SEO করে কন্টেন্ট আপলোড করা। 

আপনাকে ভিডিও আপলোড করার ক্ষেত্রে অবশ্যই এসইউ করে তারপর আপলোড করতে হবে। আপনি সফল হওয়ার ক্ষেত্রে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনি যদি এসইউ করে ভিডিও আপলোড করেন সে ক্ষেত্রে কোন একটা সময় গিয়ে হলেও সেটাতে ভালো একটা ভিউ পাবেন। অবশ্যই ভিডিও আপলোড করার আগে আপনি এসইউ সম্পর্কে কয়েকটা ভিডিও দেখে নেবেন।

ইউটিউব থেকে আয়

ফেসবুক ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে কি কি লাগবে?

 ইউটিউব থেকে মনিটালাইজেশন এর মাধ্যমে ইনকাম শুরু করার জন্য আপনার এক হাজার সাবস্ক্রাইব ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম প্রয়োজন হবে। এগুলো আপনাকে লাস্ট এক বছরের মধ্যে ফিলাপ করতে হবে।

ফেসবুক থেকে ইনকাম শুরু করার জন্য লাস্ট দুই মাসের মধ্যে ৫ হাজার সাবস্ক্রাইব এবং ৬০০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম প্রয়োজন হবে। সময়ের পার্থক্যের কারণে এগুলো পরিবর্তন করা হতে পারে।

ফেসবুক/ ইউটিউব এর ভিডিও প্রমোট।

আপনি যদি সঠিকভাবে সকল কাজ করার পরও জনগণের কাছে পৌঁছাতে না পারেন। আপনার ভিডিওতে যদি খুব একটা ভিউ না আসে। তাহলে আপনি পেইড প্রোমোশনে যেতে পারেন। আপনি বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনার ভিডিও সকলের নিকট পৌঁছে দেবেন। মনে রাখবেন কখনই আপনি প্রথম অবস্থায় এই কাজটা করবেন না। যখন আপনি সবকিছু করার পরও ভিউ না পাবেন সেক্ষেত্রে আপনি এই পদক্ষেপ নিতে পারেন। এতে আপনি নতুন নতুন অনেক  ভিউয়ার এর সাথে কানেক্টেড হতে পারবেন।

ভিডিও প্রমোট করলে কি কি লাভ বা ক্ষতি হয়। 

ফেসবুক কিংবা ইউটিউবের ভিডিও প্রমোট করলে যেমন লাভ রয়েছে তার পাশাপাশি ক্ষতিও হয় কিছু। সাধারণত আমরা যখন কোন ভিডিও আপলোড করি। নিয়মিত কাজ করলে আমাদের ভিডিওগুলো অটোমেটিক প্রমোট হয়। কেউ যদি পেইড প্রমোশন নেয়। সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে তার ভিডিওগুলো অটোমেটিক প্রমোট হওয়া অনেকটা কমে যায়। এজন্য সবার প্রথম সবাই চেষ্টা করবেন অটোমেটিক প্রমোট করার পেইড প্রমোট না করার চেষ্টা করবেন

সঠিক পদ্ধতিতে ইউটিউব/ফেসবুক প্রমোশন করার উপায়। 

আপনি যদি চান আপনার ভিডিও গুলো পেইড প্রমোশন করতে কোন ক্ষতি ছাড়া। তাহলে আপনি মাইক্রো জব সাইটগুলোর সুবিধা নিতে পারেন। এই সাইটগুলোতে খুবই রিয়াল ভাবে আপনার ভিডিও গুলো প্রোমোশন করতে পারবেন। বাংলাদেশের অনেক পপুলার একটা মাইক্রো জব সাইট হচ্ছে work up job । আপনি যদি এই সাইডগুলোর মাধ্যমে লিংক শেয়ার না করে । কোন একটা কিছু ইউটিউবে আসে লিখে সার্চ করে তারপর আপনার ভিডিও দেখতে বলে। সে ক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলের র‍্যাঙ্ক বাড়ার সাথে সাথে আপনার ভিডিওগুলো প্রমোট হবে। এখান থেকে যেই ভিউ গুলো আসবে সেগুলোর যেই ওয়াচ টাইম আপনি পাবেন সেগুলো কিন্তু মনিটাইজেশনের জন্য কাউন্ট হবে।

মনিটলাইজেশন ছাড়া ফেসবুক ইউটিউব থেকে ইনকাম।

মনিটলাইজেশন ছাড়াও কিন্তু ফেসবুক এবং ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়। এর বিকল্প অনেক পদ্ধতি রয়েছে সবগুলো আলোচনা করার সম্ভব নয়। কয়েকটা আমি আপনাদের সাথে তুলে ধরছি। এফিলেট মার্কেটিং করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও অন্যের জন্য ভিডিও তৈরি করে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। প্রমোশন ভিডিও করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন সাইট শেয়ার করে সেগুলোর রেফার থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আরো অনেক বিকল্প রয়েছে আপনি অনলাইনে কাটাকাটি করলে সেগুলো জানতে পারবেন। সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে মনিটরাইজেশন করে যেই টাকা ইনকাম করা যায় তার থেকে বেশি আলাদা টাকা ইনকাম করা যাবে।

ফেসবুক ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য যা করা যাবে না। 

কখনোই ফেসবুক বা youtube এর ভিডিও নিজ মোবাইল থেকে বারবার দেখবেন না। অনেক অটো ভিউ সাইট রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করবেন না। অন্যের ভিডিও নিজের চ্যানেলে ব্যবহার করবেন না। অবশ্যই নিজের ভয়েস অথবা ভয়েস এবং ফেস দুইটা দিয়ে ভিডিও করতে হবে। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ধৈর্য এবং পরিশ্রম কখনো হাল ছাড়া যাবে না। ধন্যবাদ

আরো পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ফ্রী তে ট্রেডিং করে ইনকাম

 আপনি যদি  ব্লগ বা ই কমার্স ওয়েবসাইট কিনতে চান। তাহলে আমদের সাথে যোগাযোগ করুন। ফেসবুক

Leave a Comment